বিশ্বাস মহাসম্পদ
(০৯/০৭/২০২০)

প্রেম ও ভক্তির অভাব,খারাপ হয়েছে স্বভাব।
হৃদয়ে সঞ্চার হয় যেন ভাব।।
থাকলে পূর্ণ বিশ্বাস দিচ্ছেন তিনি আশ্বাস,
যতক্ষণ আছে এ দেহে নিঃশ্বাস। ১
যার নিজের উপরে নেই বিশ্বাস,
সে অপরকে কি করে করবে বিশ্বাস? ২
বিশ্বাস করা কেবল কারো মুখের কথা নয়,
ব্যবহার করার পর বিশ্বাস অবিশ্বাস হয়। ৩
কথা দিয়ে যারা রাখে না কথা,তারা ধোকেবাজ।
বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস নষ্ট করে সমাজে আজ। ৪
সাধন বিনে কভু মিলে কি কখনো রতন,
গুরুতে বিশ্বাস হলে তবেই ঘুচবে বন্ধন।৫
ইন্দ্রিয়েরা কে কি বলে কান দিও না কখন,
থাকো আপন ভাবে আত্মায় করে সমর্পণ। ৬
দেহখাঁচা থাকে পড়ে, প্রাণ পাখি যায় উড়ে।
তখন আর এদেহের কেহ আদর না করে।। ৭
যতশীঘ্র সম্ভব ঘরের বাইরে নিয়ে যায় চলে,
সবাই মিলে নিয়ে যায় “বল হরি,হরিবোল” বলে।।৮
সারা জীবন মরলে খেটে বইতে সংসারের বোঝা,
জীবনের যে গুঢ় রহস্য তা আর হলো না বোঝা। ৯
গুরুর বাক্যে করো না অবিশ্বাস, ভুলো না রে মন।
শরণ যখন নিয়েছ,গুরুর বাক্য ভাব অনুক্ষণ।।১০
বিশ্বাস যদি থাকে গুরুর উপরজন্ম-মরণ না হবে।
স্বামী নিত্যানন্দ বলে, যমরাজ তোমায় না ছোঁবে।।
*শান্তি: শান্তি: শান্তি:ওম্*
ভাব সর্বস্ব জীবন
(১০/০৭/২০২০)
” যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী। ”
শাস্ত্রে তো আছে,তা ছাড়াও বলেন মুনিঋষি।।
মনে আনতে হবে সদা প্রেম-ভক্তি-শ্রদ্ধা ভাব।
বিচার সৎসঙ্গে ও সাধনা হতে আসে এ সমভাব।।১
যে কোন ধর্ম কর্ম করে আনতে হবে সমভাব।
কর্তাভাব ছেড়ে কর্ম কর,নাভেবে লোকসান লাভ।।
কর্ম করতে গিয়েই করে লাভ-লোকসানের হিসাব।
সংকীর্ণতা ছেড়ে করলে কর্ম,সমাজে পড়ে প্রভাব।২
সবকিছু থাকা সত্বেও তবুও কেন বোধ করে অভাব?
সঙ্গীতে বলে”ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়”।
ভাব সুন্দর হলে আবার সবাই তোমার হয়।
খাদ্য হতে গুণ, গুণ অনুসারে হয় সংস্কার ।।৩
অভাব বোধ জাগায় আমাদের সব পরিবার।।
দিনের পর দিন বলে,এটার পর এটা দরকার।
কোন পিতা-মাতা জাগায় না সন্তানে বৈরাগ্য ভাব।
শিক্ষার দ্বারা আসে, দয়া করুণা মৈত্রী সমভাব।।৪
দুধ থেকে ময়রা যেমন তৈরি করে মাখন ঘি দই।
এক লোহা থেকে তৈরি হয় কাস্তে কোদাল মই।।
এক চিনি থেকে তৈরি হয় কদম্ব বাতাসা মিছরি।
এক মাটি থেকে হয় দেব দেবী, শিব কালী তৈরি।।৫
মনের ভাবানুসারে কেউ হয় অসুর কেউবা দেবতা।
ভাব কর্মানুসারে নারী দেবী হয়ে সমাজে পূজিতা।।
প্রতিদিন গীতা অধ্যয়ণে ,চলে যায় অহং ভাব।
বদলে যায় নিজের স্বভাব হৃদয় আসে ব্রহ্মভাব।।৬
শরীর-মন বুদ্ধিকে করলে সংস্কার আসে শুদ্ধ ভাব।
শুদ্ধভাব হলে হয় মনে আনন্দ প্রসন্নতা সমভাব।।
মনে আসে প্রতিমুহূর্তে দ্বন্দ্ব,ভালো ও খারাপ ভাব।
মনে দুঃখ হয় ,সমভাব হলে থাকবেনা অভাব।।৭
যা কিছু আসে জীবনে তখন, তা শুধু লাভ-ই লাভ।
জীবনে কখনও কোন কিছুরই তখন হয় না অভাব।
সংগ অনুসারে মনে আসে ভাব-সদ্ভাব- মহাভাব।
ইষ্ট দেবদেবীর সাথে একত্র হ’লে আসে মহাভাব।।৮
** হরি ওম তৎ সৎ**
জীবনের অংক
(০৮/০৭/২০২০)

বন্ধু সবাই বাঁচ যদি এ জীবনে ৬০/৭০ টা বছর।
জন্মান্তর রোধে তপস্যায় লেগে যাও কষে কোমর।।
কেবল পাপী পেটের জন্য কখনো দিওনা নজর।
হাঁসি পায় দেখে, বিশৃংখল জীবনের বহর।।১
দশটা বছর কেটে যায় শৈশব,না জেনেশুনে।
যৌবনে কোষে নেয় ভবিষ্যৎ,যোগ ভাগ গুণে।।
বিয়ে-শাদি অর্থোপার্জনে ৩০টা বছর হয়ে যায় পার।
সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে, বউছেলে সামলাতে সংসার।২
বার্ধক্য এসে শেষে দ্বারে, মৃত্যু করে করাঘাত।
জীবনে অনেক করেছ সংঘর্ষ নির্যাত আয়াত।।
কুড়িটা বছর কেটে যায় ঘুমিয়ে সকলের জীবন।
সময়তো হয়ে ওঠে না আর করতে আত্মচিন্তন।।৩
সারাটা জীবন কাটালে কেবল সংসারের চিন্তায়।
রোগ ভোগে কাটলো সময় এবার ওঠার চিতায়।।
দুর্লভ মনুষ্য জীবন দেখতে দেখতে হয়ে গেল পার।
জপ-ধ্যান,ঈশ্বরচিন্তা এ জীবনে হলো না আর।।৪
মৃত্যুর ঠিক পূর্বে ,যে আসবে তোমার বিচার।
সেই যোনি তুমি প্রাপ্ত হবে নিশ্চয় পুনর্বার।।
অন্তত: দিনে একটা ঘন্টা ক্রিয়া করো শান্ত হয়ে।
সবসময় আর থাকতে হবে না তোমায় ভয়ে ভয়ে।।৫
বিশ্বাস আসবে নিজের পরিবর্তন হবে সুসংস্কার।
দেখবে অনায়াসে ঈশ্বর খুলে দেবেন মুক্তির দ্বার।।
নিয়মিত সাধনায় হবে তুমি নির্মম নিরহংকার।
চিন্তা যাবে দূরে, থাকবে না সম্ভাবনা জন্মাবার।।৬
হবে না কখনো অনুতাপ ভুলের, হবে তুমি নিঃশঙ্ক।
শাস্ত্রানুসারে চললে, মিলে যাবে জীবনের অংক।।
**হরি ওম তৎ সৎ।**
বিচার সাগর
(০৭/০৭/২০২০)
আমি দীন অভাজন, প্রভু তুমি মহাজন’,
রক্ষা করো হে জনার্দন।
আর্তের প্রার্থনা শুনে ভক্তের প্রমাদ গুনে।
আবির্ভাব হও বিপদভঞ্জন।।১
যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গি, বাছে তার জীবন সঙ্গী।
কৃষ্ণ ভগবানে করি অঙ্গী।
পুনর্জন্ম বড় বিপদ, এড়াতে ধরি তব পদ,
তুমি যে আমার সহায় সম্পদ।।২
যে যেমন করেছে কর্ম নাজেনে কর্মের মর্ম,
সে ভুগছে কর্ম ফল তার।
মোহের রঙিন চশমা পড়ে দেখে রঙিন সংসার।
সবাই তো নয় শঙ্করাচার্য, বলবে মিথ্যা সংসার।।৩
বলছে সুখ নাই, অজ্ঞানী বৃথা খুঁজে এ সংসারে।
জ্ঞানী বলে সে সুখ নয়,সুখের আভাস বলে তারে।।
দুধের জল বের করে ঘী পনিরের করে ব্যাপার।
বিবেক হলে অপার বুঝবে দেহ মধ্যে দেহী সার।।৪
নাম রূপ উপাধি নিয়ে দৃশ্যমান এ সংসার।
তাই আদি ব্যাধিতে ভুগতে হয় বারবার।
যখনই মিটে যাবে নাম রূপ আর উপাধি।
সংযম সাধনায় যদি হয় তোমার সমাধি।।৫
হলে অনুভূতি আমি দেহ নই,কিছুই নয় আমার।
এ দেহ আবরণ মাত্র চৈতন্য সত্তাই সার।।
আমি নই ক্ষুদ্র,ব্যাপ্ত আমি অখন্ড মন্ডলাকার।
আমি-ই সব তখন হয়ে যায় সবাই আমার।।৬
জীব হয়ে না থেকে সংসারে শিব হও একবার।
দেখবে তখন মনে আসছে না কোন বিকার।।
আত্মা তে হলে স্থিত নিজেই করবে স্বীকার।
দেহ আমি নই দেহ আমার, এটা করো বিচার।।৭
দুঃখে মানুষ বলে,মরণ হয় না কেন আমার।
জ্ঞান বিনা দুঃখ জীবন থেকে নাই যাবার।।
যোগের কৌশল জানলে থাকবে না অন্ধকারে।
ঈশ্বর সে ক্ষমতা দিয়েছেন তোমারে আমারে।।৮
পাপ করেছ রাশি রাশি, ভুগবে কি তোমার মাসি পিসি।
ভাগ্যের লিখন করেছ নিজেই,, হাতে ধরে কলম মসি।।৯
**হরি ওম তৎ সৎ**
সাঙ্গ করো ভবলীলা
০৬/০৭/২০২০/
গুরু তোমার চরণ ধরে,
এ সংসারে আছি পড়ে,
তুমি করবে আমায় পার। ১
আমি অসহায় সম্বলহীন,
জেন প্রভু আমি অতিদীন,
দেখাবে যে মুক্তির দ্বার।২
মর্তলোকে দেখিবেশি কষ্ট,
করো না মোরে যোগভ্রষ্ট,
ত্রিতাপ জ্বালা সহেনা আর। ৩
কখনো আম্ফান,
কখনো করোনা মহামারী,
অহরহ আসে সমাচার।৪
কত যে দেখালে,
কত যে দেখতে হবে,
এই মায়াময় সংসার। ৫
শুনেছি অনেকবার,
দারা পুত্র পরিবার,
কেউ সঙ্গে নয় যাবার। ৬
মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে,
ধরো হাত মোর শক্ত করে,
আসতে না হয় যেন বারবার।৭
কান্না শুরু জন্মের সঙ্গে,
জন্ম রোধ হবে মোহভঙ্গে,
আর জন্ম হবে কতবার। ৮
বৈরাগ্য যেন হয় তীব্র,
জ্ঞান হোক অতি শীঘ্র,
বোঝাও স্বরূপ মায়ার।৯
কাঞ্চনকামিনীর মোহে,
ভাসছে সব সংসার প্রবাহে,
বোঝেনা সংসারের সার। ১০
পেলাম যখন গুরু,
তুমি আমার কল্পতরু,
তুমি ছাড়া গতি নাই আর।১১
এখনো রয়েছি মূলাধারে ,
পৌঁছাও মোরে সহস্রারে,
সেখানে পাই আনন্দ অপার।
সেইতো আমার অন্তিম দ্বার।।১২
স্বামী নিত্যানন্দ বলে বারবার,
আর কি ইচ্ছা আছে জন্মাবার?
।।হরি ওম্ তৎসৎ।।

স্বানুভূতি

০৫/০৭/২০২০।
আজ গুরু পূর্ণিমা ( গুরু সঙ্গের অনুভব)
শ্রীগুরবে নমঃ। শ্রী পরম গুরবে নমঃ।

শ্রীগুরু চরণে জানাই মোর প্রণাম শুভদিনে।
আছো সাথে মোর তবু কাটেনা তব স্মরণ বিনে।।
গুরু দিলেন বুদ্ধি মোরে তিনি-ই পরম গতি।
ভ্রমিতেরে দেখালেন পথ দিয়ে পরম জ্যোতি।।১

চারটি বছর গুরু সেবার সুযোগ পেয়ে হয়েছি ধন্য।
পূর্বজন্মের কর্মফলে সেটাই অর্জন আমার পূণ্য।।
প্রারম্ভে গুরুর কাছে যা পেয়েছিলাম শিক্ষা।
সবকিছুই দিয়েছেন ভরে না চাইতেও ভিক্ষা।।২

গুরু ছিলেন অল্পভাষী বলতেন অত্যন্ত ধীরে ‌।
সকাল-সন্ধ্যায় করতেন ক্রিয়া নির্দিষ্ট কুটিরে।।
আজ এই সংস্কার সবি গুরুর দেওয়া।
চোখ কান ছিল খোলা নিয়েছি যেটুকু নেওয়া।।৩

গুরু মোর কল্পতরু কোন কিছুর হয়নি অভাব।
সব সময় আছেন সঙ্গে দেখেছি গুরুর প্রভাব।।
ভ্রমণ করেছিলাম পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণে।
কখনো ভুলি নাই জাগরণে কিংবা স্বপনে শয়নে।।৪

অনাথ আমি হয়ে গেলাম গুরুর মহাপ্রয়াণে।
তিনি রেখেছেন মোরে সদাই তার নয়নে নয়নে।।
গুরুর নামে হয়েছে প্রতিষ্ঠা চারটি আশ্রম।
তিনি করেছেন আশীর্বাদ করতে কঠোর পরিশ্রম।।৫

সে আশ্রমে করবে সাধনা হয়ে আশ্রমবাসী।
জাত ধর্মের বিচার নাই হলে ব্রহ্মচারী সন্ন্যাসী।।
গুরুই পরম দেবতা গুরু ছাড়া শ্রেষ্ঠ কেহ নাই।
নিত্যানন্দ বলে গুরু শ্রেষ্ঠ সম্পদ,গুরুশরণ চাই।৫।

গুরুর দেওয়া ক্রিয়া আজ যে করবে শুভক্ষণে।
থাকবে ভালো গুরু কৃপায় সে নিশ্চয় আগামী দিনে।
সূর্য যেমন থাকে দূরে, প্রকাশ পায় সবাই সকালে।
গুরুদেবও থাকলে দূরে তার আশীর্বাদ পাবে সকলে

গুরু কৃপাহি কেবলম্।গুরু কৃপাহি কেবলম্।
( ওম্ শান্তি:শান্তি: শান্তি:)

গুর্বষ্টকস্তবম্
০৪/০৭২০২০
গুরুব্রর্হ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেব মহেশ্বর:।
গুরু সাক্ষাৎ পরম্ ব্রহ্ম তব পদম্ নমাম্যহম্।।
ব্রহ্মসূত্র উপনিষদ গীতা শাস্ত্র আর চন্ডী।
মোর জীবনে গুরু-ই সব শাস্ত্র গুরু পাকদন্ডী।।
গুরুর কাছে শিখলাম নিয়মানুবর্তিতা।
সহজ জীবন পবিত্রতা,সঙ্গে সরলতা।।১
গুরু করলেন সংশয় দূর, মনের অন্ধকার।
বোঝালেন তিনি সর্বনাশের মূল অহংকার।।
সত্য হলে নির্ভর করবে সিংহের মত হুংকার।
স্বর্ণ-রৌপ্য অতি তুচ্ছ পবিত্র জীবন-ই অলংকার।।২
এক -কে ছেড়ে সব দৌড়ায় পেতে শতশত।
এক ব্রহ্ম দ্বিতীয় নাস্তি, দৌড়িও না মুঢ়ের মত।।
আত্মা হ’তে জাত এই সব পঞ্চ মহা ভূত।
গুরু দিলেন তত্ত্ব জ্ঞান আশ্চর্য অদ্ভুত।।৩
পরম ধনের সন্ধান দিলেন সদ্গুরু।
আত্মাই গুরু,ধ্যানে জানো,হ’ল নতুন জীবন শুরু।।
আত্মসূর্য প্রকাশিত মম হৃদয়ে গগনে।
তব প্রকাশে প্রকাশিত বুদ্ধি, মনের গহনে।।৪
কর্ম-ভক্তি-জ্ঞান জানলাম,তব শ্রী মুখে।
অচল থাকতে পেলাম শিক্ষা, সকল দুঃখে।।
কর্মের মর্ম শেখালে, চলতে পথে ধর্মের।
শ্রেয় ও প্রেয় দুটি রূপ, বোঝালে কর্মের।।৫
জীবনের অন্ধকার ভেদি দেখায় পথ গুরু।
সে এক নূতন জীবন আনন্দে পথ চলা শুরু।।
স্বার্থ আর পরমার্থ নিয়ে এ মনুষ্য জীবন।
মানুষের কল্যাণে করবে উৎসর্গ রেখ স্মরণ।।৬।
যে শিক্ষা পেয়েছি আমি গুরু সঙ্গ করে।
সে আদর্শ করবো পালন সারা জীবন ধরে।।
সত্যরূপে আছে অমৃত, এ বিশ্ব চরাচরে।
আত্মারূপে বিরাজিত আছেন সব অন্তরে।।৭
ঘুরেছি আসমুদ্রহিমাচল খুঁজতে পরমানন্দ।
পেলাম শেষে গুরু শ্রীমৎ স্বামী শুদ্ধানন্দ।।
গুরু পরম দেবতা, গুরু ছাড়া শ্রেষ্ঠ কেহ নাই।
নিত্যানন্দ বলে গুরু শ্রেষ্ঠ সম্পদ,গুরুর চরণ চাই।।
নিবেদন
০৩/০৭/২০২০
বলে দাও শ্রী হরি কেমনে ওই চরণ ধরি,
জন্ম যাতনা থেকে মুক্তি চাই।
সংস্কারে হয়ে গেল এই মানব তন বন্ধন,
এত করেও কেউ খুশি নাই।
প্রারব্ধ বশে জন্ম সংসারে,
দাও মোরে বৈরাগ্য ভরে,
অন্তিমে যেন তোমায় পাই।
কর্মফল আর যত ভোগ,
দূর করে শারীরিক রোগ,
সুদামার মত মোরে দিও ঠাই।।
🕉 শ্রীকৃষ্ণ শরনম্🕉
মৃত্যু-রহস্য
০২/০৭/২০২০
ব্রহ্ম যখন ছিলেন একা ছিলনা তার সঙ্গ,
ছিলনা তাই নানা ভাবেরপ্রকৃতির রঙ্গ।
ছিলনা কো জন্ম মৃত্যু দুঃখ সুখের কথা,
ছিল না শোক তাপ অশান্তির বারতা।
ব্রহ্ম যেদিন বহু হলেন আনন্দের তরে,
জন্ম-মৃত্যুর সৃষ্টি হ’ল জগতের পরে।
শোক তাপ হাসি কান্নার নিত্য পরিচয়,
শুরু হলো জীবনের নিত্য নিত্য ক্ষয়।
জন্ম মৃত্যুর রহস্যের নেই কোন অন্ত,
দৃষ্টি ভঙ্গীর নানাভাবে মানুষ হয় ভ্রান্ত।
বেদান্ত বলেছে পথ জগত লীলা মানি,
বিদ্যা অবিদ্যার মাঝে রাখো দৃষ্টি খানি।
অবিদ্যার মাঝে পাবে নিজ স্বার্থ বোধ,
জগতের সত্য তাতে হইবে রোধ।
একত্বের জ্ঞান কিছু নাই তার মাঝে,
দেখিবে জগৎটাকে নানা রূপ সাজে।
নানা ভাবে নানা রঙ্গে সত্য ভেসে যায়,
সংকুচিত দৃষ্টির মাঝে শোক এসে যায়।
মৃত্যু এক লীলা খেলা জীবনের ধারা,
মৃত্যুতে শেষ নেই আনন্দেরই ধারা।
ঈশ্বর জন্মের পূর্বেই ভোজনাদি রেখেছেন প্রবন্ধ।
পূর্বনির্ধারিত পিতা পুত্র স্বামী স্ত্রী গুরু শিষ্য সম্বন্ধ।।
কোন কিছুই নেই কিন্তু আমাদের হাতে।
কর্তা ভেবে সবাই ভয় উদ্বিগ্নে কাটাই অযথাতে।।
জন্ম-মৃত্যু কোনটাই নেই কারো হাতে।
সংস্কার বশে অজ্ঞানতায় থাকে মাথা ঘামাতে।।
শাশ্বত নিয়ম সংযোগ হলে বিয়োগ নিশ্চয় হবে।
জন্মালে মরণ নিশ্চয় অমর কে কথা কবে?
আত্মা শুধু চলে যায় দেহখানি ছাড়ি,
নুতন দেহটি লয়ে নূতন দেশে পাড়ি।
আনন্দের জগৎ মাঝে আনন্দের লীলা,
জীব আর জগতের মাঝে চলে সেই লীলা।।
ওম্ শান্তি শান্তি শান্তি
বেদান্ত 
০১/০৭/২০২০
বেদ মানে জানা, জানার অন্ত বেদান্ত।
জানবো কাকে? ঈশ্বর ব্রহ্মকে! তিনি যে অনন্ত।।
ব্রহ্মকে জানা কঠিন, অবাঙ্মনসগোচর।
আবার তিনি-ই সর্বত্র, ব্যাপ্ত চরাচর।।
মন আছে জানে সবাই, থাকেনা সে বশে।
প্রতিক্ষণে বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে খসে।।
সংকল্প বিকল্প যে করে তার নাম মন।
সব সময় ডুবে চিন্তায় করেনা চিন্তন।।
যা দেখে পেতে চায়, ছোট ছেলের মত।
প্রতিদিন বাড়ছে বাসনা, সমস্যা যত।।
বিচারহীন জীব করতে পারে না নিয়ন্ত্রণ।
প্রত্যহ ভোগের বিষয়কে করে নিমন্ত্রণ।।
বুদ্ধি তারে বলে যে নিত্য অনিত্য করে বিচার।
অনিত্যকে দূরে ফেলে করে নিত্যের প্রসার।।
বুদ্ধি করে নিশ্চয়,যা সত্য যথার্থ।
বিনাশী দেহ আত্মা অবিনাশী বোঝে আত্মার অর্থ।।
চিত্ত হয় সবার চঞ্চল,প্রাণের স্বভাবে।
প্রাণ ক্রিয়া চলে অহোরাত্র, তার নিজের ভাবে।।
প্রাণায়াম করে প্রাণকে করলে স্থির।
শান্ত হবে মন কখনো হবেনা অধীর।।
চৈতন্যের হবে প্রকাশ নিজ অন্তঃকরণে ।
অশান্ত মন শান্ত হবে কূটস্থে জ্যোতি দর্শনে।।
এগুলো কবিতা নয়, আমি নই কবি।
ছড়াতে লিখি মাত্র বাস্তব সমাজের ছবি।।
সব সময় কর যদি চিন্তন বেদান্ত।
স্বামী নিত্যানন্দ বলে, তুমি শাশ্বত, অনন্ত।।
হরি ওম্ তৎসৎ
অর্থ-অনর্থ-পরমার্থ
৩০/০৬/২০২০।
পুরুষার্থ চারটি,ধর্ম-অর্থ- কাম- আর মোক্ষ ।
বর্তমানে মোক্ষ উপলক্ষ,অর্থ-ই একমাত্র লক্ষ্য।।
শাস্ত্রকে করে উপেক্ষা,জীবন হয় অচল।
শাস্ত্রের বিধি মেনে চললে, মনে বাড়ে বল।।
দুর্ভাগ্য আমাদের পড়েনাশাস্ত্র,সংযম করে না।
বিজ্ঞানে বিশ্বাস বিজ্ঞানের উপরে অধ্যাত্ম জানেনা।।
অর্থ ছাড়া জীবন চলেনা, তবুও অর্থই সব কিছু নয়।
অর্থ বেশি হলেই বাড়ে ভয়, জীবন হয় সংশয়।।
অর্থের না হলে সদ্ব্যবহার, অর্থে হবে বিনাশ।
অর্থের সদ্ব্যবহারে জীবনের হয় বিকাশ।।
পরিশ্রম ও ধর্মের দ্বারা তোমার অর্জিত অর্থ।
ইহলোক পরলোকে পরমার্থ, বাড়াতে সামর্থ্য।।
শৈশব থেকেই পিতা মাতা মাথায় ঢুকিয়ে দেয় ভূত।
বলেন তারা অর্থ উপার্জনে হয় মানুষ একি অদ্ভুত।।
অর্থতে হয় সুখ, মনে আসে না কখনো শান্তি।
দেখা যায় সংসারে অর্থই আনে বড় অশান্তি।।
ভুল করি সবাই আমরা,সুখ আর শান্তি এক নয়।
ভোগাসক্তিতে থাকে সুখ,অনাসক্তিতে শান্তি হয়।।
আসক্তিতে হয় বন্ধন, অনাসক্তিতে মুক্তি।
শাস্ত্র অনুভবে এ প্রমাণিত, এ অভ্রান্ত যুক্তি।।
মন-ই হ’ল জীবের বন্ধন মোক্ষের কারণ।
বিষয়ে আসক্ত হ’লে হয়,জীবের বন্ধন।
নির্বিষয় করতে পারলে মন হয় বন্ধন মোচন।।
মুক্তির জন্য শীঘ্র নেবে, যোগী গুরুর শরণ।।
*হরি ওম্ তৎসৎ।*
ধর্ম
২৯/০৬/২০২০
স্বামী নিত্যানন্দ গিরি
জন্ম হয় ঘরে বা হাসপাতলে, শেষ শ্মশানে গিয়ে।
ভগবান গীতা শুরু করেছিলেন, ধর্ম শব্দ দিয়ে।।
জীবন শুরু হয় গড়, ধর্ম- অর্থ-সমাজ নীতি মেনে।
সুখ শান্তি পাবে সবাই জ্ঞান -কর্ম -ভক্তি জেনে।।
ধর্ম আমাদের সকলকে করে রাখে ধারণ।
ধর্ম শেখায় আমাদের হিংসা করা বারণ।।
সনাতনীরা করে ব্যবহার,মুনি ঋষিদের গোত্র।
পূজা-পার্বণে কিংবা বিবাহে বলে যত্রতত্র।।
শাস্ত্র আমাদের শেখায় আদর্শ কি সনাতন ধর্ম।
কষ্ট পায় সংসার সমাজ না জেনে ধর্মের মর্ম।।
পায় সুখ-শান্তি মানুষ করলে ধর্মানুসারে কর্ম।
চিন্তা-ভাবনা দেখাশুনা সবি মন ইন্দ্রিয়ের ধর্ম।।
ধর্ম-ই শেখায় মোদের করতে প্রেম শ্রদ্ধা ভক্তি।
মনীষীরা বলে ধর্ম পথে থাকলে বাড়ে মনের শক্তি।।
ওম্ শিবমিতি।।
অনুতাপ
২৮/০৬/২০২০.
শৈশব কেটেছে হেসেখেলে ছিল না কোন কর্তব্য।
যৌবনে পায়না সার্ভিস ,শুনতে হয় কটুক্তি মন্তব্য।।
ছোট থেকে অনেক কিছু শুনলাম জানলাম।
অলসতায়কাটলো জীবন,এখন ভাবে কি করলাম।।
আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ
মেক্স এ ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ।
অনুশাসনে গড়লে জীবন,
সবাইকে দিতে পারতে সারপ্রাইজ।।
নিয়মিত উঠলে ভোরে ঘুমালে তাড়াতাড়ি।
তবেই মানুষ হয় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।।
দিনরাত ধরে চিন্তা কেবল পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বলতে শুনেছি অনেককে ভুল করলাম করে বিয়ে।।
ব্যাচেলার থাকলে ঘুরে বেড়াতাম একা একা।
তাহলে আর খেতে হতো না সংসারের ছ্যাকা।।
মন করে করতে তীর্থ,কাশি হরিদ্বার হৃষীকেশ।
শান্তি সেখানে,থাকে না বাঁধন,না চিন্তার লেস।।
অপদার্থ এসব মানুষের সমাজের কি দরকার?
হলে স্বার্থপর, করলে না কখনো পরোপকার।।
কি করব ভাগ্য খারাপ বলে, বসে বসে কাঁদে।
করেছি ভুল, এখন পড়েছি সংসারের ফাঁদে।।
কি করবে ভেবে পায়না কবে কাটবে এ বন্ধন।
ঘুম আসেনা রাত্রিতে হয় বিবেকের দংশন।।
না জেনেই সব জেনে ফেলেছে দাদাগিরি ফলাতে।
সমাজবিরোধী করে মস্তানী চায় ভাগ্য বদলাতে।।
চিন্তা করে কেবল বাড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ।
অতীত আসবেনা ফিরে, বৃথা করো অনুতাপ।।
আমি কর্তা ভেবে মরল সবাই করেনা সমর্পণ।
অহম ছেড়ে করলে কর্ম দেখবেন মধুসূদন।।
গুরুর কাছে গিয়ে কর উপনিষদের শ্রবণ-মনন।
স্বামী নিত্যানন্দ বলে চিন্তা ছেড়ে কর আত্মচিন্তন।।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি।
আত্মানন্দ- ব্রহ্মানন্দ
২৭/০৬/২০২০
দেখ এই ভূমন্ডলে ঈশ্বর ব্যাপ্ত চরাচরে।
গুরু বিনে ত্রিভুবনে বল কে দেখাবে তারে।।
সংসার নিয়ে করেছো খেলা সময় যে নাই রে।
সুখের আশায় দুঃখ পেলে,কি করলে ভাইরে।।
কাঞ্চন-কামিনী ভোগে সদাই যারা ব্যস্ত।
সংযম হীন জীবনে হয় তারাই অসুস্থ।।
সব সময় আছে চিন্তায় নিয়ে অনেক সমস্যা।
খুশি হয় তখনই যদি ভালো চলে ব্যবসা।।
নিত্য অনিত্য জানলে তুমি,করতে ব্যবধান।
নিত্য শান্তি অনিত্য দুঃখ,খুলে দেখো অভিধান।।
সমস্যা থাকলে দেখো ,থাকবেও সমাধান।
ভাব নাই তাই অভাব, যদি থাকো সাবধান।।
নিয়ে ১টি গাড়ি তিনজনেই যাচ্ছে ১টি বাড়ি।
পুরুষ বলে কি আনন্দ যাব শশুর বাড়ি।।
ছেলে বলে ভারী মজা যাব মামার বাড়ি।
স্ত্রী পরে নতুন শাড়ি যাবে আনন্দে বাপের বাড়ি।।
তিনজনের মন ভিন্ন, মনে পাবে সবাই আনন্দ।
বহুদিন পরে যাওয়া না নিলে মিষ্টি,বলবে তারা মন্দ।
ভালো খেয়ে ভালো পরে আছে ডুবে বিষয়ানন্দে।
স্বামী নিত্যানন্দ বলে “তত্ত্বমসি” থাকো ব্রহ্মানন্দে।।
মন্থন
২৪/০৬/২০২০।
-“সব হারিয়ে হবে শব”-
মাথা থেকে যায় না যেতে বিষয় ভাবনা।
জন্ম জন্মান্তর থেকে আসে বাসনা কামনা।।
দোষ কাকে দেবো আমরা সংস্কারের অভাব।
চেষ্টা করলে পুন:পুন : হবে শ্রদ্ধা ভক্তি লাভ।।
বৃদ্ধ বয়সে সকলে করছে কেবল পশ্চাতাপ।
সময় চলে গেছে কি করবে? বসে থাকো চুপচাপ।।
আনলকেও মন বড় অস্থির অস্থির।
মন দিয়ে করো ক্রিয়া, মন হবে স্থির।।
সারা জীবন খেলেছো নিয়ে পুত্র নাতি।
শেষ সময় দেবে তারা,তোমার মুখে বাতি।।
দেখবে তখন যা কামালে জীবনে, এখানে থাকল পড়ে সব।
তুমি যাচ্ছ শ্মশানে কাঁধে চড়ে, শেষে হয়ে শব।।
সূর্য -মহিমা
সূর্য -গ্রহণে।২১/০৬/২০২০!
প্রণাম জানাই প্রভু হে ভগবান সূর্য।
তোমার কৃপায় পাই যে ষড়ৈশ্বর্য।।
যত আছে দেব-দেবী সব মনের কল্পনা।
তাই মানুষ বিভ্রান্ত বাড়ছে যত বিড়ম্বনা।।
প্রত্যক্ষ দেখছি মোরা সূর্য নারায়ণ।
দেখে বাহ্য দৃশ্য জগত, তাই আনন্দিত মন।।
সূর্য প্রকাশিত হয় তাই দেখে বন্ধু পরিজন।
তা না হলে চোখ থাকতেও, হত অন্ধ নয়ন।।
জীবজগৎ এমন প্রাণবন্ত সূর্যের প্রকাশে।
জীবনী শক্তি বেশি পাব গেলে রবির সকাশে।।
সূর্য ভগবান ছাড়া বাঁচবে না জীবকুল।
ভাস্কর দেবের কৃপায় তাই হয় অনুকূল।।
জীবনী শক্তি পাই মোরা ভগবান সূর্যনারায়ণ থেকে।
সাতটা দিন বাঁচবো না যদি সূর্য বসেন বেঁকে।।
সাক্ষাৎ ঈশ্বরের মোরা করিনা উপাসনা।
সূর্য নমস্কারে যাবে সব শরীরের যন্ত্রণা।।
মন্ত্র সহিত সূর্যের ( ব্যায়াম)করলে প্রণাম।
সারা জীবন শরীর থাকবে ,ভালো হবে পরিণাম।।
জীবজগৎ হবে ধ্বংস যদি হয় একেবারে সূর্যগ্রহণ।
আমাদের বুদ্ধি বিবেক হবে লোপ,লাগলে মনে গ্রহণ।।
আনন্দ
13/06/2020,সকাল 7,15
আমরা সবাই করি পূজা,দেখাই ভগবানের ভক্ত।
বিশ্বাসের অভাব ভক্তি কম, মনটা নয় তো শক্ত।
চায় প্রত্যেকে সন্সার-কষ্ট হ’তেমুক্ত।
মৃত্যু এলে চায় না মরতে,গৃহস্থ সবাই ভুক্ত।।
মৃত্যু যে স্বাভাবিক,এটা চরম সত্য।
মৃত্যু হয় না ,দেহের পরিবর্তন , সব শাস্ত্রে তা কথ্য।।
84 লাখ যোনির রয়েছে আমাদের সংস্কার।
এ জন্য জন্ম মানুষের,কর্মফল ভোগার ।।
রহস্য জানে না জন্ম-মৃত্যুর,জীব যে অজ্ঞানী।
সংসারে অভিনয় করতে করতে হয় অভিমানী।।
উদয়াস্ত ব্যস্ত তারা,সংসারে সুখ সন্ধানী ।
নেই সময় করতে সাধনা,কি করে হবে আত্মজ্ঞাণী ।।
ভয় মোহের কারণে সবাই বাঁধা এই সংসারে।
ভয়-মোহ নিজের সৃষ্ট,ঘুরছ মঠ-মন্দিরে।
বিবেক হবে জাগ্রত,করলে শাস্ত্র -পাঠ সত্সঙ্গ।
হ’লে সদাচারি তপস্যায় হবে মোহ ভঙ্গ।।
অজ্ঞান সৃষ্টি আমাদের, আছ পড়ে ভ্রমে।
ব্দ্ধ থেকে হবে বুদ্ধ,পাবে মুক্তি কঠিন পরিশ্রমে ।।
আমরা চাই জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ।
প্রার্থনা শ্রী গুরুচরণে দাও অচলা ভক্তি।।
আনন্দ কথায় খূঁজ,আনন্দ আছে ভিতরে।
নিত্যানন্দ বলে পাবে আনন্দ দেখ নিজ অন্ত:পুরে ।।
আজকের সুবিচার
১৪/০৬/২০২০.
জন্ম যখন হয়েছিল আমরা সবাই ছিলাম অজ্ঞ।
শিক্ষার সংস্কারে হয়ে গেল সব অভিজ্ঞ।
শান্তি-স্বস্ত্যয়নের মন্ত্র শিখে সমাজে করে যজ্ঞ।
গীতা উপনিষদের বাণী বললে তিনি হন বিজ্ঞ।।
শাস্ত্রমতে করলে আচরণ, গঠন হয় চরিত্র।
দেখলে তাদের জীবন যাত্রা, হ’বে আদর্শ পবিত্র।।
শাস্ত্র অনুসারে করলে জীবন, চলে যায় ভ্রান্তি।
গৃহস্থ কিংবা সন্ন্যাসী তখন পায় সুখ শান্তি।।